ছবি সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের মাটি রক্তে রঞ্জিত—প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইলের হাতে চলছে নির্মম নিপীড়ন। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের পাল্টা আক্রমণের পর থেকে শুরু হওয়া সহিংসতা নতুন করে উত্তাল করে তুলেছে পূর্ণভূমি ফিলিস্তিনকে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউই রেহাই পাচ্ছে না। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে।
ইসরাইলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, মসজিদসহ ঐতিহাসিক নিদর্শন। গাজা উপত্যকায় একরকম কারফিউর মতো অবস্থা। আকাশজুড়ে বোমার শব্দ, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন লাশ, আর প্রতিটি কোণায় আতঙ্কিত মানুষ। শিশুরা জানেই না তাদের অপরাধ কী ছিল।
এই মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর অবস্থান স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা বরং সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে অস্ত্র ও সহযোগিতা পাঠিয়ে সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ করে তুলছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নির্লিপ্ততা এবং তথাকথিত ‘মানবতার রক্ষকদের’ নীরবতা এই সংকটকে করে তুলেছে আরও বিষাক্ত।
বোমা হামলায় প্রাণ হারানো শিশুর লাশ কবর দেওয়ার মতো জায়গাও পাচ্ছে না গাজাবাসী। পশ্চিমতীরজুড়েও চলছে চিরুনি অভিযান। খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র সংকটে পড়েছেন হাজারো ফিলিস্তিনি পরিবার। তাদের চোখে এখন শুধু বাঁচার আকুতি আর মাথার উপর জ্বলন্ত আকাশ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত এই জনপদে নেমে এসেছে অন্ধকার, কিন্তু থেমে নেই প্রতিরোধ। মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের তরুণরা। বিশ্বাস, সাহস আর সংগ্রামের মাঝে তারা খুঁজে নিচ্ছেন নতুন আশার আলো। ফিলিস্তিন আজ রক্তাক্ত, কিন্তু লড়াই করছে সম্মানের, অস্তিত্বের আর আত্মমর্যাদার জন্য।
এটি শুধু একটি ভূখণ্ডের দখল নয়—মানবতার চরম বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। বিশ্ব বিবেক আর কতকাল থাকবে নীরব? এই প্রশ্নই এখন আকাশ ছুঁয়ে হাহাকার করছে। আজ নয়, কাল হয়তো দেরি হয়ে যাবে। তাই সময় এসেছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর—মানবতার পক্ষেই।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News