ছবি সংগৃহীত
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন আমলের অনুপম দৃষ্টান্ত। তিনি নিজে নিয়মিত নফল ইবাদতে মগ্ন থাকতেন এবং সাহাবিদেরকেও উৎসাহিত করতেন নফল আমলে। এমনই একটি আমল হলো—প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা, যেগুলোকে বলা হয় “আইয়ামে বীজ”।
‘আইয়ামে বীজ’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘আয়াম’ (দিন) ও ‘বীজ’ (সাদা/শুভ্র) থেকে। কারণ এই তিন দিনে চাঁদ পূর্ণতা লাভ করে, রাতে তার জ্যোৎস্না চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মরুভূমিতে তা দিনের আলোর মতো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। তাই এ রাতগুলোকে দিনের সাথেই গোনা হয়।
হাদিস অনুযায়ী, নবীজি সা. কখনো এই তিন দিনের রোজা বাদ দিতেন না, এমনকি সফরকালেও নয়। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, “আমার প্রিয় বন্ধু (রসুল সা.) আমাকে তিন বিষয়ে অসিয়ত করেছেন—প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা, দুহা সালাত পড়া এবং ঘুমানোর আগে বিতর আদায় করা” (বুখারি)।
হযরত আবদুল মালেক বিন কুদামাহ (রা.) বলেন, “রসুল সা. আমাদেরকে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন” (আবু দাউদ)। আর হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, “তিনি কখনোই আইয়ামে বীজের রোজা ছাড়তেন না” (নাসায়ি)।
এই রোজাগুলো ছিল নফল, কিন্তু বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে—“প্রতি মাসে তিনটি রোজা এক বছর রোজা রাখার সমতুল্য” (নাসায়ি)। কারণ, এক নেকি দশগুণ, তাই ৩ দিন × ১২ মাস × ১০ = ৩৬০ রোজা!
ইসলামী শিক্ষায় দেখা যায়, এই রোজা আত্মশুদ্ধি, সংযম, ও ধৈর্যচর্চার অন্যতম হাতিয়ার। আধুনিক গবেষণাও বলে, সুনিয়মিত ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যেমন দেহকে ডিটক্স করে, তেমনি এই রোজাও অন্তরের জন্য প্রশান্তির উৎস।
অতএব, যে কেউ চাইলে এ আমল সহজেই জীবনে যুক্ত করতে পারেন—নিয়মিত না পারলেও মাসে একবার চেষ্টা করাই প্রশংসনীয়।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News