মুফতি আবদুল্লাহ তামিম :

হারানো কিছু খুঁজে না পেলে আমরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু ইসলাম আমাদের এমন মুহূর্তেও আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পথ শিখিয়েছে—দোয়ার মাধ্যমে।

দোয়া শুধু কথার উচ্চারণ নয়, বরং এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, "দোয়া ইবাদতের মূল।" এমনকি জীবনের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি আমাদের দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।

হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার জন্য নবী করিম (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তে বলেছেন:

يَا هَادِيَ الضَّالِّ، وَرَادَّ الضَّالَّةِ ارْدُدْ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزَّتِكَ وَسُلْطَانِكَ فَإِنَّهَا مِنْ عَطَائِكَ وَفَضْلِكَ

উচ্চারণ: ইয়া হাদিয়াদ দ্বাল্লাল, ওয়া রাদ্দাদ দ্বাল্লাহ, উরদুদ আলাইয়া দ্বাল্লাতি, বিইজ্জাতিক ওয়া সুলতানিকা, ফাইন্নাহা মিন আত্বায়িকা ও ফাদলিক।

অর্থ: হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হে প্রত্যাবর্তনকারী, আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলায় আমি প্রার্থনা করছি, আপনি আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান ও অনুগ্রহ।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজী (সা.) বলেছেন:

"তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়, যদি সে তাড়াহুড়া না করে ও হতাশ না হয়।" (বুখারি ৬৩৪০)

অন্য একটি হাদিসে হযরত জাবির (রা.) বলেন, নবীজী (সা.) বলেন:

"যদি কেউ দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রার্থিত বস্তু দেন কিংবা তার বিপদ দূর করেন। যতক্ষণ না সে কোনো গুনাহের জন্য বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে।" (তিরমিজি)

আরও বলা হয়েছে:

"যদি কেউ বিপদের সময়ে দোয়া কবুল হোক—এটি চায়, তাহলে সে যেন শান্তির সময়ে বেশি বেশি দোয়া করে।" (তিরমিজি ৩৩৮২)

হযরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেন,

"দোয়া ছাড়া কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না। আর নেক আমল ছাড়া কিছুই আয়ু বাড়াতে পারে না।" (তিরমিজি ২১৩৯)