ডেস্ক রিপোর্টার :

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দুইজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের পঞ্চম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সোমবার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। তারা হলেন: শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।

তিনজনই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সাক্ষীদের জবানবন্দি শেষে আসামিদের পক্ষে জেরা করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, এবং প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সাইমুম রেজা তালুকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে এখন পর্যন্ত ১২ জন জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট চারজন সাক্ষী (সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম) জবানবন্দি দিয়েছেন।

সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া চলাকালীন আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে হাজির করা হয়। এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি ৪,০৫ পৃষ্ঠা, শহীদদের তালিকার বিবরণ ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন মোট ৮১ জন।

এ মামলা ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়। ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।