ওয়াশিংটনে ৪ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, বেইজিংকে মোকাবিলার ইঙ্গিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পরদিনই ‘কোয়াড’ গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আয়োজনে ওয়াশিংটনে আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে চার দেশ বলেছে, এ বছর ভারতে আসন্ন নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য কর্মকর্তারা নিয়মিত বৈঠক করবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে চারটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, বেইজিংকে মোকাবিলা করা ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকার, এই সংকেত দেওয়ার জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
এর আগে রুবিও বলেছিলেন, বৈঠকে তিনি ‘আমেরিকা ও আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে’ মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকের আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার পেনি ওয়াং, ভারতের সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর এবং জাপানের তাকেশি আইওয়াকে নিজ নিজ দেশের পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের অভিষেকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোয়াডের (পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক) আয়োজন তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতিতে দেশটির অগ্রাধিকার তুলে ধরা হয়েছে।’
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দেশ একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক শক্তিশালীকরণে তাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ অঞ্চলে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা সমুন্নত ও রক্ষা করা হবে।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের ওপর চীন তার সার্বভৌমত্বের দাবিতে কাজ করবে এমন হুমকির প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, ‘বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চায় এমন যে কোনো একতরফা পদক্ষেপেরও আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।
এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব চীন সাগর, যেখানে জাপান চীনের সাথে আঞ্চলিক বিরোধে আবদ্ধ এবং বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর, জাপানের সরকার পরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
সম্মেলনে ইওয়াইয়া উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অতীতে উত্তর কোরিয়ার হাতে জাপানিদের অপহরণ নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা চেয়েছেন।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সেক্রেটারি তোশিহিরো কিতামুরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইওয়াইয়া রুবিও ও ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে বলেছেন— পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করা ছাড়া জাপানের আর কোনো বিকল্প নেই।
২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান তার বৃহত্তম সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটন প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানোর জন্য মিত্রদের ওপর আরও চাপ দিতে পারে।
ইওয়াইয়া রুবিওকে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে বলেছিলেন যেখানে জাপানি ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ ছাড়াই বিনিয়োগ করতে পারে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News