ডেস্কঃ রিপোর্টার :

‎“সার্চ বিডি নিউজ অনুসন্ধানে উঠে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য…”

ঝালকাঠির নিভৃত গ্রাম। একটি সকাল… আর একটি গাছের ডালে ঝুলছে মা আর ছেলের নিথর দেহ।

একই দড়িতে, একই গাছে… কি এমন ঘটেছিল, যার পরিণতি হলো এই ভয়াবহ মৃত্যু?

নিহতরা—৩৫ বছর বয়সী আসাদ মাঝি এবং তার ৫৫ বছর বয়সী মা রুবি বেগম।

তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ধারণা—আত্মহত্যা।

কিন্তু… সার্চ বিডি নিউজ অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন কিছু তথ্য, যা এই "আত্মহত্যা"র ছায়ায় রেখে যায় অজানা রহস্য।

রুবি বেগম ছিলেন হানিফ মাঝির দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানসহ।

খুলনার এক অজ্ঞাত খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠান এতদিন যাদের দেখাশোনা করত,

কিন্তু কিছু বছর আগে, সেই প্রতিষ্ঠান সরে দাঁড়ায়।

বাধ্য হয়েই রুবি বেগম তার সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন ঝালকাঠিতে, স্বামীর বাড়ি।

কিন্তু, না ছিল স্বীকৃতি… না ছিল আশ্রয়।

জায়গা মেলে বাড়ির জঙ্গলের পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে।

এই দারিদ্র্যের মধ্যেই, আসাদ মাঝির জীবনে আসে পাশের বাড়ির এক বিবাহিত নারী—শাহানাজ।

সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু এ সম্পর্ক সমাজে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

শাহানাজের পরিবার জানার পর শুরু হয় হুমকি, নিপীড়ন, এবং অব্যাহত টর্চার।

ঘটনার সূত্রপাত তখনই, যখন শাহানাজ তার ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন।

সমাজের আঙুল, দোষ আর অপমান এসে পড়ে আসাদের উপর।

জিহাদ মাঝি—শাহানাজের ভাই। অভিযোগ রয়েছে তিনিই নিয়মিত মারধর করতেন আসাদকে।

এমনকি হানিফ মাঝি নিজেও তার সন্তানকে বেধড়ক মারধর করতেন।

স্থানীয়রা বলছেন—

আসাদের জুমঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে জিহাদের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।

রুবি বেগম বাঁচাতে গেলে তাকেও ফেলে দেওয়া হয়।

"চুলার ওপর গরম পানি ছিল… কিন্তু ঘরে কেউ ছিল না। বিকেল থেকে রাত… কোথাও খোঁজ মেলেনি।"

প্রাথমিকভাবে থানার ওসি বলছেন—এটি আত্মহত্যা।

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—এই আত্মহত্যা কি বাস্তবেই আত্মহত্যা?

নাকি ছিল এটি চাপ, অপমান আর নির্যাতনের এক নিষ্ঠুর পরিণতি?

একটি পরিবার…

একজন মা…

একজন সন্তান…

আমরা কি হারিয়ে ফেলছি মানবিকতা?

আর কত “আত্মহত্যা” হবে সমাজের চাপে, অথচ আমরা থাকবো নীরব?