ছবি সংগ্রহীত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি বিয়েবাড়িতে পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার করেছে তাদের। বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
গত ৩ এপ্রিল, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী হাজিপাড়া গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর থেকেই 'গেটের টাকা' ও 'নরম ভাত' নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জেরে বরপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। খাবারের সময় ভাত নরম হওয়ায় বরপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, এবং একে একে তারা ভাতের প্লেট ছুড়ে ফেলে, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ ঘটনার পর কনের চাচা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বরপক্ষের সদস্যরা তাকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বরপক্ষের অধিকাংশ সদস্য পালিয়ে যায়, কিন্তু কিছু লোককে আটক করে এলাকাবাসী।
পরদিন, ৪ এপ্রিল, বরপক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল হাকিম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশ একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু কনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়ে এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে ওসি এবং পুলিশ সদস্যরা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু তাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়িটিও কনেপক্ষের লোকজন ঘেরাও করে ফেলে।
পুলিশের ওপর হামলা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির পর, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ওয়াজেদ হোসেন জানিয়েছেন, তারা দায়িত্ববোধ থেকে ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, "এলাকাবাসী আমাদের কথায় সাড়া দেয়নি, এটা দুঃখজনক।"
ওসি মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, "আমরা বরপক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করতে গেলে কনেপক্ষের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে এবং আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তারপর আমরা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের ঘেরাও করে রাখে। অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা উদ্ধার হই।"
তিনি আরও বলেন, "এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে, এবং তদন্ত চলছে। বর্তমানে আসামির সংখ্যা এবং নাম বলা যাচ্ছে না, কারণ গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চলছে।"
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়েবাড়িতে ঘটিত এই সহিংস ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও, এই ধরনের ঘটনা যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর, তা স্পষ্ট। ঘটনার পর মামলা দায়ের করা হলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এখন মূল প্রশ্ন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News