ডেস্ক রিপোর্ট :

পটুয়াখালীর বাউফলে নিষিদ্ধ শাপলা পাতা মাছ পরিবহনের অভিযোগে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ জব্দ করেছে প্রশাসন। রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাউফল থানার সামনে অভিযান চালিয়ে এই মাছগুলো উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ জানায়, ঢাকা থেকে বাউফলগামী অন্তরা পরিবহনের একটি বাসে গোপনে বিশেষ মোড়কে করে এসব শাপলা পাতা মাছ পরিবহন করা হচ্ছিল। মোট পাঁচটি মাছ পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৪৯৮ কেজি—অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২ মণ। এমন বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাছ একসঙ্গে জব্দের ঘটনা এলাকাজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী শাপলা পাতা মাছ ধরা, হত্যা, পরিবহন বা বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সম্প্রতি এ মাছ চোরাচালানচক্রের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন আরও সতর্ক রয়েছে।

বাউফল বন বিভাগের কর্মকর্তা বদিউজ্জমান সোহাগ বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি বাসে অবৈধ শাপলা পাতা মাছ আনা হচ্ছে। পরে অভিযান চালিয়ে সব মাছ জব্দ করি।”

তিনি আরও জানান, এসব মাছ নদী বা খালে খুবই বিরল প্রজাতির হওয়ায় সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। এই নিষিদ্ধ মাছ পরিবহনে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হবে।

সরকারি এই অভিযানে স্থানীয় মানুষজন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, অবৈধভাবে মাছ ধরা ও পাচার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো গেলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এদিকে, জব্দ করা মাছের পরবর্তী করণীয় নিয়ে বন বিভাগ জানিয়েছে—শাপলা পাতা মাছ বন্যপ্রাণীর আওতায় পড়ায় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পন্ন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধ মাছ ধরার দায়ে এর আগেও বাউফল ও আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান হয়েছে। তবে এবার যাত্রীবাহী বাস ব্যবহার করে পাচারের ঘটনা প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে বাধ্য করছে।

মাছ জব্দের ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন এবং চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।