মুজিবর মৃধার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি চিতলমারী উলামা পরিষদের
জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে প্রত্যাশা দেশের সচেতন নাগরিকদের।
বাগেরহাটের চিতলমারী চর কচুড়িয়া উত্তর পাড়া মৃধা বাড়ি জামে মাসজিদে, গত ১৩ ই ডিসেম্বর শুক্রবার ২০২৪ ইং তারিখে জুম্মার খুৎবার পূর্বে বয়ান করছিলেন মাওলানা শেহাব উদ্দীন মৃধা, কুরআনের শাসন কায়েম ও সুবিধা এবং কুরআন ওয়ালাদের সমর্থন শীর্ষক আলোচনা করার এক পর্যায়ে একই গ্রামের আওয়ামী লীগের দোসর মুজিবর মৃধা তীব্র বিরোধিতা করে। এ ঘটনায় অস্তিরতা বিরাজ করছে ঐ এলাকার মধ্যে।
ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানান, মুজিব মৃধার ছেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করে তার প্রভাব খাটিয়ে এই আওয়ামী দোসর মুজিবর মৃধা স্বৈরাচারের শাসনামলে বিভিন্ন ধরনের জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে এলাকার সাধারন মানুষের উপর। সমাজের কোনো মানুষকে মানুষ মনে করেনি। সাধারন মানুষের উপর চড়াও হয়েছে সবসময়। মুজিবের সামনে কোনো আলেম কথা বলতে আসলে অপমানজনক কথা বলে থাকে সবসময়। প্রতি শুক্রবার ইমামের বয়ানে বাধাদেন এ মুজিবর মৃধা। তার টাকা এবং ক্ষমতার বলে কেউ এতদিন মুখ খুলতে সাহোস পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
চর কচুড়িয়া গ্রামের মৃধা পড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিহাব গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৩ ই ডিসেম্বর শুক্রবার খুৎবা দেওয়ার পূর্বে কুরআনের শাসন কায়েম ও সুবিধা এবং কুরআন ওয়ালাদের সমর্থন শীর্ষক আলোচনা করছিলাম ঠিক তখন মুজিবর মৃধা তার বিরোধিতা করে এবং অপমান জনক কথা বলে, সে সবসময় আমার সাথে অপমান জনক ভাষায় কথা বলে। তার টাকার এবং দলের যোর এর জন্য এলার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না।
চর কচুড়িয়ার স্থানীয় ঐ এলাকার মসজিদের কয়েকজন নিয়মিত মুসল্লি গণমাধ্যামকে জানান, মুজিবর মৃধা একজন আওয়ামী দোসর । ১৩ ই ডিসেম্বর শুক্রবার কুরআন ও হাদিসের আলোচনার মধ্যে বাধা সৃষ্টি করায় চর কচুড়িয়া গ্রাম বাসি সহ পুরো চিতলমারী উপজেলার ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতা এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এবং অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
চর কচুড়িয়া গ্রামের উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্য বিরধী ছাএ আন্দলনের চিতলমারী থানার অন্যতম সদস্য সিয়াম রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গত ৫ আগস্ট এক দফা দাবির মাধ্যমে ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে নামাতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। বাংলার মাটিতে আমরা কোন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার কে আশ্রয় দিব না। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে চর কচুড়িয়া গ্রামে আওয়ামী দোসর মুজিবর মৃধা স্বৈরাচারের শাসনামলে বিভিন্ন ধরনের জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে এলাকার সাধারন মানুষের উপর। এমন কি গত ১৩ ই ডিসেম্বর শুক্রবার নয় সে একাধিক বার জুম্মার খুৎবার পূর্বে কুরআন ও হাদিসের আলোচনার মধ্যে বাধা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী দোসর মুজিবর মৃধা । আমরা ছাত্র জনতা এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এলাকার জনপ্রতিনিধি হানিফের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে চলে যান। পরে মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
চিতলমারী ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, চর কচুড়িয়া গ্রামের মৃধা পড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিহাব কে গত ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং শুক্রবার খুৎবা দেওয়ার পূর্বে কুরআনের শাসন কায়েম ও সুবিধা এবং কুরআন ওয়ালাদের সমর্থন শীর্ষক আলোচনা করার এক পর্যায়ে একই গ্রামের আওয়ামী লীগের দোসর মুজিবর মৃধা তীব্র বিরোধিতা করে এবং অপমান জনক কথা বলে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
চর কচুড়িয়া গ্রামে মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনার বিষয়ে চিতলমারী থানার অসি এস. এম শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি, আমদের কাছ কোন অভিযোগ না করায় আমরা কোন আইন আনুগ ব্যাবস্থা নিতে পারছি না।
ঘটনার বিষয়ে মুজিবর মৃধার মুঠো ফোনে একাধিকার বার ফোন করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News