নিজস্ব প্রতিবেদক :

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। 

এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

এর আগে সকাল ১০টার পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমীর হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী মুহম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, ডা. দীপুমনিসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৬ বছর ধরে দেশে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় মামলাটি হচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উল্লেখযোগ্য ৪৬ জন, যারা শেখ হাসিনাকে এ ধরনের অপরাধের জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নানাভাবে অপরাধ সংঘটনে ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছি।’ 

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গুম কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে শেখ হাসিনা সম্পৃক্ত ছিলেন বলে গুম কমিশন খুঁজে পেয়েছে। কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা যেসব অপরাধ পেয়েছি, তা ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করব।’