শুধু মুরগি ডিম দুধ বিক্রি করবে সরকার : রোজায় সাশ্রয়ী মূল্যের বিক্রয় কেন্দ্রের আওতা কমছে : গরু-খাসির মাংস ও মাছ বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি
এবার রমজান মাসজুড়ে সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীতে দুধ, ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি পিস সাড়ে ৯ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। তবে এবার গরু-খাসির মাংস ও মাছ বিক্রির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পাশাপাশি এ বছর বিক্রয়কেন্দ্রের আওতা কমানো হয়েছে। গত বছর রাজধানীর ৩০ এলাকা, ৫টি বাজার ও ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোতে সুলভ মূল্যে মাছ, দুধ, ডিম, মুরগি, গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হলেও এবার রাজধানীতে ২৫ এলাকায় কর্মসূচি চলবে।
গতকাল রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সভাপতিত্বে রমজানে সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ বছর মাংস ও মাছ সরবরাহের বিষয়ে কোনো খামারি রাজি না হওয়ায় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গরু-খাসির মাংস প্রস্তুতের সক্ষমতা না থাকায় এই তিনটি পণ্য বিক্রির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিতর্কিত সংগঠনগুলোকে এবার এই কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত করা বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের গরু ও খাসির মাংস দেওয়ার সক্ষমতা নেই। এ ছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেরও গরু জবাই ও মাংস প্যাকেজিংয়ের নিজস্ব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লটার হাউস নেই। সিটি করপোরেশনের স্লটার হাউস থাকলেও তা ব্যবহারের উপযোগী নয়। আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন গরু সংগ্রহ ও মাংস প্রস্তুত করেছে। ওই সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা থাকায় এবার তাদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমে রাখা হয়নি। ফলে গরু-খাসির মাংস বিক্রির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ দিকে গত বছর মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে জ্যান্ত মাছ বিক্রির কার্যক্রম বেশ সাড়া পেলেও এবার মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে মাছ বিক্রির বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক উদ্যোক্তা জানান, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে মূল আকর্ষণ গরু ও খাসির মাংস। প্রতিবছর রমজান শুরুর কিছু দিন পরই মুরগি ও ডিমের দাম বাজারে কমে যায়। ফলে এই দুটি পণ্য ক্রয়ে মানুষের আগ্রহ থাকে না।
বাজারে গরু ও খাসির উচ্চমূল্যের কারণে নিম্নবিত্ত মানুষের ভরসা ছিল ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র। গরু ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। গত বছর ৬ লাখ মানুষ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের সুবিধা পেয়েছেন।
গত অক্টোবরে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে ট্রাকে করে তেল, ডাল ও চাল বিক্রির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। পরিবার কার্ড না থাকলেও এর মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পেতেন। সম্প্রতি এটি বন্ধ হয়েছে। একই সময়ে চালু হওয়া ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রির কর্মসূচিও কিছুদিন আগে বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মের অভিযোগে সারাদেশে টিসিবির এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যেই রমজানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের আওতা কমিয়ে আনা হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News