ডেস্ক রিপোর্টার :

টলিগঞ্জের জনপ্রিয় জুটি অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেন এবার নতুন এক জঁরায় হাজির হচ্ছেন বড় পর্দায়। রোম্যান্স, কমেডি ও অ্যাকশন থেকে এবার তারা পা রাখছেন ভৌতিক ছবির জগতে। নতুন এই ছবিতে তাদের একেবারে ভিন্নরূপে দেখতে পাবেন দর্শকরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছবির অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা কথা জানিয়েছেন অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা। অঙ্কুশ জানান, “এই ছবির গল্পটা প্রথম দিনই শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বাংলা সিনেমায় ভূতের গল্প নতুন নয়, কিন্তু এত আবেগঘন একটি প্লট খুবই বিরল। এটি শুধু ভয় দেখানোর ছবি নয়, বরং এটি এক মা-বাবা ও সন্তানের মৃত্যুর পরেও টিকে থাকা সম্পর্কের গল্প।”

ছবিতে অঙ্কুশের চরিত্রের নাম অর্ণব মার্টিন। ছবির গল্পে মৃত্যুর পরেও বাবা-মায়ের আত্মিক অনুভূতির মাধ্যমে সন্তানকে রক্ষা করার চেষ্টা উঠে এসেছে। অঙ্কুশের মতে, এটি শুধু একটি হরর ফিল্ম নয়, এটি একটি ‘ইমোশনাল হরর ড্রামা’।

ঐন্দ্রিলা সেন এই ছবিতে কাজ করে বেশ অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। পরিচালক রাজদীপ ঘোষের সঙ্গে এটি তার দ্বিতীয় কাজ এবং এসকে মুভিজের সঙ্গে প্রথম। তিনি জানান, “ছবির চরিত্রটি আমার কাছে একেবারে নতুন। শুটিংয়ের সময় প্রথমে একটু গা ছমছমে অনুভব হলেও, ধীরে ধীরে গল্পের গভীরতা আমাকে আবিষ্ট করে তোলে।”

চিত্রায়নের সময় অনেকগুলো দৃশ্য কবরস্থানে শুট হয়েছে। ঐন্দ্রিলা একবার ভুল করে একটি আট বছরের শিশুর কবরের ওপর বসে পড়েছিলেন—যা পরে বুঝতে পেরে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হন। এমন অভিজ্ঞতা তাকে ছবির চরিত্রের সঙ্গে আরও মেলাতে সাহায্য করে।

ভূত বিশ্বাস করেন কিনা—এমন প্রশ্নে ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমি ভূতের ভয় পাই ঠিকই, কিন্তু আসলে মানুষকেই বেশি ভয় পাই।” একই সুরে সাড়া দেন অঙ্কুশও। তিনি জানান, “আমি বিভিন্ন শক্তিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু বাস্তব জীবনে মানুষ যেভাবে ক্ষতি করতে পারে, ভূত তেমন পারে না।”

এই সিনেমাটি অঙ্কুশের প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে। এটি তার প্রযোজিত দ্বিতীয় ছবি। ভবিষ্যতে পরিচালনায় আসার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

ভৌতিক গল্পের আবহে তৈরি এই আবেগময় ছবিটি টলিউডে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকেই। ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন সিনেমাটি মুক্তির জন্য।