ডেস্ক রিপোর্টার :

ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে—কারণ বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির যাত্রী তালিকায় ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। যদিও তিনি বিমানে উঠেছিলেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছাকাছি মেঘানিনগর আবাসিক এলাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ কুইকজেট সিরিজের এআই-১৭১ ফ্লাইটটিতে ২৪৪ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিমানটির যাত্রী তালিকায় ছিল গুজরাটের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকা বিজয় রূপানির নাম। তিনি রাজকোট পশ্চিম কেন্দ্রের সাবেক বিধায়কও। তবে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যায়নি তিনি আসলেই বিমানে উঠেছিলেন কিনা।

বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করেই কয়েক মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং মেঘানিনগরের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে উদ্ধারকারী দল। দুর্ঘটনাস্থলে আগুন ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে, বহু ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) গান্ধীনগর থেকে ৯০ জনের তিনটি দল পাঠিয়েছে। এছাড়াও ভাদোদরা থেকে আরও তিনটি উদ্ধারকারী দল যোগ দিয়েছে উদ্ধার কাজে। এখনও হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে দুর্ঘটনার খবরে সরব হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। গুজরাটের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছেন।

বিজয় রূপানির সম্ভাব্য উপস্থিতি বিমানটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ বিষয়ে সরকারি ও রাজনৈতিক সূত্র থেকে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্ত চলছে। গোটা রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে—তিনি কি আদৌ বিমানে ছিলেন?