ডেস্ক রিপোর্টার :

রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। সেতু ধসে পড়ার কারণে ট্রেনটির একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে ট্রেনের চালকও রয়েছেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

রোববার (১ জুন) ভোরে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘শনিবার রাতে পরিবহন ব্যবস্থায় অবৈধ হস্তক্ষেপের’ কারণে সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

রাশিয়ার রেলওয়ে বিভাগ টেলিগ্রামে জানায়, ট্রেনটি ব্রায়ানস্কের ক্লিমোভো শহর থেকে রাজধানী মস্কোর দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাইগোনিচস্কি জেলার একটি ফেডারেল হাইওয়ের কাছে, যা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।

ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানান, আহতদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। এদের একজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।

রাশিয়ার জরুরি অবস্থা মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই প্রায় ১৮০ জন উদ্ধারকর্মী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালান। উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান।

রাশিয়ার বাজা নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে জানায়, সেতুটি একটি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এখনো কোনো বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিত করা হয়নি। রয়টার্স জানায়, এ তথ্যের স্বাধীন যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান। সীমান্তবর্তী ব্রায়ানস্ক, কুরস্ক এবং বেলগ্রেড অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা এবং গোপন অভিযান চলছে। এই দুর্ঘটনার পেছনে যুদ্ধের প্রভাব আছে কিনা তা নিয়ে জোর আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।