ডেস্ক রিপোর্টার :

ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিষয়টি তিনি সরাসরি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বুধবার (৪ জুন) দুই নেতার দীর্ঘ এক ঘণ্টার ফোনালাপে ইউক্রেন সংকট ও সম্ভাব্য শান্তির আলোচনা নিয়ে কথাবার্তা হয়।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, আলোচনাটি ছিল ফলপ্রসূ তবে তাৎক্ষণিক শান্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পুতিন জানিয়েছেন রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক হামলার জবাব আসবেই।

এরইমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। ক্রিমিয়া সেতুতে ইউক্রেন বাহিনীর ড্রোন হামলার জবাবে খারকিভ, দোনেৎস্ক ও জাপোরিজঝিয়াসহ একাধিক অঞ্চলে একযোগে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এমনকি সুমি অঞ্চলের আরও একটি বসতি দখলের দাবি করেছে মস্কো।

জবাব দিয়েছে ইউক্রেনও। দুই শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ। যদিও তাদের ভাষ্যমতে, বেশিরভাগ হামলাই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।

এমন উত্তেজনার মধ্যেই মস্কোয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করেন পুতিন। ব্রায়ানস্ক ও কুরস্কে ইউক্রেনের হামলাকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “যে প্রশাসন সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে, তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা কীভাবে সম্ভব?”

পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেন শান্তির পথে আগ্রহী নয় বরং পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, রাশিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতেই বাধ্য।

অন্যদিকে ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে জানানো হয়, কিয়েভকে সামরিক সহায়তা বাড়ানো হবে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরিতে অর্থ সহায়তা দেবে ন্যাটো জোট।

সব মিলিয়ে স্পষ্ট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা আপাতত অনিশ্চিত। ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা শান্তির দিকে এগোতে পারলেও, ময়দানে যুদ্ধের ঢেউ এখনো থামেনি।