ডেস্ক রিপোর্টার :

দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় শিক্ষকরা গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সরকারের বারবার দেওয়া প্রতিশ্রুতির পরও কোনো লিখিত ঘোষণা বা বাস্তব পদক্ষেপ না আসায় ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’ ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

গতকাল বুধবার এই পরিষদের আয়োজনে জরুরি ভার্চুয়াল সভায় নেতারা জানিয়েছেন, সরকার গত ১১ মার্চ শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছলেও এখন পর্যন্ত কোনোরকম লিখিত ঘোষণা দেননি। এতে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা বলেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সাধারণ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকা স্পষ্ট বৈষম্য ও সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণের পরিচায়ক।

অধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত মে মাসের মধ্যেই এমপিও কার্যক্রম শেষ করে জুলাই থেকে বেতন কার্যকর করার কথা থাকলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে অধ্যক্ষ নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদী বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকদের দুর্দশা সরকারের নজরে আসেনি, এবং আশা প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত এমপিওভুক্তি বাস্তবায়ন করবে।

সভায় আরও দাবি করা হয় — সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করা, লিখিত ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা, এবং বাজেটে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা।

পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা সতর্ক করেন, ঈদের পর সরকার যদি স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে শিক্ষকরা ছাত্র-অভিভাবক, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।

অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আব্দুস সালামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন।

শিক্ষক সমাজের এই দাবি সরকারের কাছে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলেছে।