ডেস্ক রিপোর্টার :

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মহাকাশ প্রতিরক্ষা প্রকল্প ‘গোল্ডেন ডোম’ ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পাশাপাশি এটি এখন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

‘গোল্ডেন ডোম’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা হাইপারসনিক ও আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে সক্ষম হবে। এ বছরই এই প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ কোটি ডলার, যা ভবিষ্যতে বিশ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই উদ্যোগকে বিভিন্ন দেশ সমালোচনা করছে। উত্তর কোরিয়া এই প্রকল্পকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘অহংকারের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং মহাকাশকে পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছে।

চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোল্ডেন ডোম’ নিরাপত্তার ভারসাম্য বিনষ্ট করবে এবং অন্যান্য দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। বেইজিং থেকে এই প্রকল্পের আক্রমণাত্মক বৈশিষ্ট্যের বিরুদ্ধে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফল হলে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার অনেকটাই অকার্যকর হবে। ফলে পিয়ংইয়ং বিকল্প হামলার কৌশল গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

২০২২ সালে উত্তর কোরিয়া নিজেকে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল এবং তার পর থেকে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।

বিশ্বব্যাপী মহাকাশ ও পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে ‘গোল্ডেন ডোম’। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রকল্পকে অনেক দেশ ‘অতিরিক্ত সামরিকায়ন’ বলে বর্ণনা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর ‘গোল্ডেন ডোম’-এর প্রভাব ভবিষ্যতে কী রকম হবে, তা নজরদারির বিষয়।