ডেস্ক রিপোর্টার :

রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি রোধে ঝটিকা মিছিলবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মী। গ্রেপ্তাররা রাজধানীতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি ও জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টায় যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:

মো. হুমায়ুন কবীর সুজন (৫৩) – আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য।

গোলাম রাব্বানী সরদার (৪৬) – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

মো. মেহেদী হাসান (২৭) – আওয়ামী লীগ কর্মী।

পুলিশ জানায়, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর টিকাটুলি এলাকা থেকে হুমায়ুন কবীর সুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম।

পরদিন সকাল সাড়ে ৫টায় মিরপুর এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয় ডিবি-মিরপুর বিভাগের অভিযানে।

একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান হাউজিং এলাকা থেকে গোলাম রাব্বানী সরদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি দল।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তার হওয়া গোলাম রাব্বানী সরদার মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ধানমন্ডি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক হিসেবেও পরিচিত।

ডিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তারা তিনজনই ‘সংঘবদ্ধভাবে রাজধানীতে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ডিএমপি বলছে, “আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

এই ঘটনায় রাজধানীতে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে কিনা—তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা।

ডিবি বলছে, গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।