ছবি সংগৃহীত
গেল কোরবানির ঈদে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল একটি ছাগল—যার দাম হাঁকা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। সেই ছাগল ঘিরেই শুরু হয়েছিল ‘ছাগলকাণ্ড’। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন এনবিআরের তৎকালীন কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার কথিত ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত।
সেই ছাগলের অবস্থান নিয়ে এতদিন ধোঁয়াশা থাকলেও, এবার তার খোঁজ মিলেছে। জানা গেছে, ছাগলটি এখনও সাদিক এগ্রো খামারে রয়েছে। বিশালদেহী ব্রিটল জাতের এই ছাগলের উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল প্রায় ১৭৫ কেজি, যদিও বর্তমানে ওজন কিছুটা কমেছে।
ছাগলটি নিয়ে শুরু হয়েছিল একটি ভাইরাল ভিডিও দিয়ে। খামার মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন সেটিকে ‘বিদেশি জাতের উন্নত ছাগল’ বলে প্রচার করেন। পরে ১৫ লাখ টাকায় ছাগলটি কিনে নেন মুশফিকুর, যিনি পরে দাবি করেন, সেটি আসলে সামাজিক মাধ্যমে সেলফির জন্যই নেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনা থেকেই জনমনে প্রশ্ন উঠে, একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত দামি ছাগল কেনে। উত্তরে মতিউর রহমান বলেন, মুশফিকুর তার ছেলে নন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার গোপন বিয়ের তথ্য ও অপ্রকাশিত সম্পদের নানা তথ্য। দুদকের তদন্তে বিষয়টি আরও বিস্তৃত হয়।
পরে দেখা যায়, খামারটি সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুনে খামার ভেঙে দেওয়া হয় এবং সেখানকার গরু-ছাগল সরিয়ে নেওয়া হয় সাভারের অন্য একটি খামারে। তখনই আলোচিত সেই ছাগলটির আবারও দেখা মেলে।
সাদিক এগ্রোর এক কর্মকর্তা জানান, ছাগলটি এখনও বিক্রি হয়নি। বর্তমানে এটি দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন তারা।
ছাগলকাণ্ড আজও থেকে যায় দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছাগল নিয়ে তোলপাড় কমেনি এখনও। দুর্নীতি, গোপন সম্পদ, এবং অস্বচ্ছ লেনদেনের এই প্রতীক আজও জীবিত—একটি ছাগল, যার গায়ে লেগে আছে হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ছায়া।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News