ডেস্ক রিপোর্টার :

পারিবারিক কলহ, সন্দেহ আর ক্ষোভের পরিণতিতে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতি ইউনিয়নের হাজরানীয়া (সদরপাড়া) গ্রামে শ্যালিকার কাঁচির আঘাতে দুলাভাই খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার পেছনে পরকীয়ার সন্দেহই মূল কারণ।

নিহতের নাম দুলু মিয়া (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত শ্যালিকা চাঁদনী বেগম একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। চাঁদনী ও দুলুর স্ত্রী মনি বেগম—দুজনই একই এলাকার মোকছেদুর রহমানের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর দুলু মিয়া তার স্ত্রী মনি বেগমকে মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই মুহূর্তে শ্যালিকা চাঁদনী উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে দুলুর গলা ও ঘাড়ে একাধিক আঘাত করেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় দুলু মিয়াকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে তিনি মারা যান।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুই বোন—চাঁদনী ও মনি—দুজনেই পলাতক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত ও নির্মম বলে উল্লেখ করেছেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, "ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।"

তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

এটি শুধুই একটি পারিবারিক ঘটনা নয়—এটি সমাজের ভেতর ক্রমাগত বেড়ে চলা পারস্পরিক অবিশ্বাস, সহিংসতা এবং হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার এক ভয়াবহ উদাহরণ। একজন শিক্ষার্থী কিশোরী কীভাবে এমন মারাত্মক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে, সেটিও আমাদের সমাজ ব্যবস্থার জন্য চিন্তার বিষয়।