ডেস্ক রিপোর্টার :

ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ব্যবহার করে প্রভাষক পদে নিয়োগ নেওয়া এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন এবং এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (৪ জুন) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

দুদক জানায়, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান লায়লা পারভীন। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন তার স্বামী সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল। নিয়োগে দেওয়া তার এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষার সব সনদপত্রই ভুয়া বলে প্রমাণ মিলেছে।

প্রতারণামূলকভাবে চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক, নাজিরপুর শাখা থেকে প্রভাষক হিসেবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন লায়লা পারভীন। যদিও ওই কলেজ তখনো এমপিওভুক্ত ছিল না। দুদক বলছে, স্বামীর প্রভাব ও কলেজ অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের সহযোগিতায় এ অনিয়ম চালিয়ে যান লায়লা।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, "আউয়াল তার অষ্টম শ্রেণি পাস করা স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। নিয়োগের সনদপত্র যাচাই করতেই দেখা যায়, তা সম্পূর্ণ ভুয়া।"

মামলার তদন্ত শেষে প্রমাণ মিললে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন অভিযুক্তরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা আদায় এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের এ চিত্র নিন্দনীয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।