ডেস্ক রিপোর্টার :

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার শিবপুর-মর্তুজাপুর গ্রামের ফাঁকা মাঠে নির্মম ডাকাতির শিকার হয়েছেন বাবা-ছেলে। বুধবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পথ আটকে ডাকাত দল প্রথমে ভ্যান উল্টে দেয়, এরপর ছেলে জিয়ারুলকে কুপিয়ে ও বাবা শফি উদ্দিনকে পিটিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৭০-৮০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

আহত জিয়ারুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাবার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এবং পেশায় ভ্রাম্যমাণ কাপড় ব্যবসায়ী। দশমাইল বাজারে বিক্রি শেষে ভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে শিবপুর ও মর্তুজাপুরের মাঝামাঝি নির্জন স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির কৌশল ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ভ্যান থামাতে সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয় ডাকাত দল। ব্যারিকেডে ধাক্কা খেয়ে ভ্যান উল্টে গেলে ৬-৭ জনের একদল ডাকাত তাদের ঘিরে ধরে। এরপর ছেলে জিয়ারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং বাবা শফি উদ্দিনকে মারধর করে টাকা লুটে নেয়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, “জিয়ারুলের বাম হাতে গভীর ক্ষত রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, “সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ভ্যান ও মালামাল হেফাজতে নেয়। আহতদের অভিযোগ ও ডাকাতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, এই রুটে দীর্ঘদিন ধরেই নির্জনতার সুযোগে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে ওই এলাকায় টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।