জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :হাসনাইন তালুকদার � :

“এই দেশে দুধের চেয়ে ঘোল বেশি বিক্রি হয় – আর সেই ঘোল মিশে গেছে এখন দায়িত্ব আর দুর্নীতির মিশেলে। আজকের তালাশ, ঝালকাঠি জেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের সেই ঘোলাটে চিত্র তুলে ধরবে – যেখানে বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে শিশুদের মুখে দুধ উঠেনি, উঠেছে দুর্নীতির রাজত্ব।”

“মো: আসাদুজ্জামান – ঝালকাঠি জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ডিএলও। তার অফিসের ফাইলে লেখা আছে দায়িত্ব, অথচ বাস্তবে জমে আছে অনিয়ম, অবহেলা আর অর্থ আত্মসাৎ।”

“১ জুন – বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। এই দিনটি ঘিরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে ২ লাখ ৮ হাজার টাকার একটি বরাদ্দ আসে। নির্দেশনা ছিল – শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতা, র‍্যালি, এবং বিনামূল্যে দুধ বিতরণ।

দেশের অন্যান্য জেলায় পালিত হলেও... ঝালকাঠিতে কিছুই হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে— তাহলে সেই টাকা গেল কোথায়?”

“সার্চ বিডি নিউজ টিম পৌঁছে কর্মকর্তার দেখা পায়নি, বরং শুনেছে অজুহাতের গল্প। অফিসে নিয়মিত না থাকার অভিযোগ তো আছেই। আর সেই সাথে রয়েছে ‘কাগজে-কলমে উৎসব, বাস্তবে শূন্যতা’।”

“এই টাকার কোন ব্যাখ্যা নেই অফিসে। নেই হিসাব, নেই ছবি, নেই কোনো প্রমাণ – কিন্তু টাকা বরাদ্দ হয়েছে, এবং কোথাও গেছে। প্রশ্ন থেকেই যায়—প্রকৃতপক্ষে দুধ গেল কার পেটে?”

“এই ব্যক্তি, যার বাড়ি শরীয়তপুরে – সে এখন ঝালকাঠিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির দুর্গ। শিশুদের মুখের দুধ ছিনিয়ে নেয়ার এই অপরাধ কি কেউ দেখবে না?”

“বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে যখন দেশের অন্য প্রান্তে শিশুদের হাতে দুধ পৌঁছায়, তখন ঝালকাঠিতে সেই দুধ পৌঁছায়নি কারও কাছেই।

তবে কোটি টাকার প্রশ্ন – এই বরাদ্দের অর্থ গেল কোথায়?

আর এর জবাব কে দেবে?”