ডেস্ক রিপোর্টার :

ডিজিটাল মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। এবার মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী বিদেশি নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। নতুন এ ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

গত বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, “যদি কোনো বিদেশি সরকার বা তাদের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে ব্যবস্থা নেন, কিংবা মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর সেন্সর চাপিয়ে দেন, তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।” এই ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ‘ডিজিটাল সেন্সরশিপ’ মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করল।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে চলমান বিতর্ককে আরও জোরদার করবে। যদিও মার্কো রুবিওর বিবৃতিতে নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি, অতীতে জার্মানি, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যকে সেন্সরশিপ আরোপের অভিযোগে সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক নিবন্ধে ইউরোপকে ‘সেন্সরশিপের ঘাঁটি’ বলেও উল্লেখ করেছে, যেখানে বলা হয়, ‘গণতন্ত্রের নামে’ সেখানে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে।

এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে নতুন বিতর্কও শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান—ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ। আবার কেউ বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু দেশকে চাপ দেয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে। শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিতের পাশাপাশি, আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার কথাও জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

বিশ্বের নানা প্রান্তে সোশ্যাল মিডিয়া এখন মতপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম হলেও, তা নিয়ে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ও সেন্সরশিপের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ভিসানীতি সেই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।