ডেস্ক রিপোর্টার :

ভিসা জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আজীবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে—এমন কড়া অবস্থান নিয়েছে মার্কিন সরকার। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসন রোধে শুরু করা হয়েছে সমন্বিত আন্তঃসংস্থাপন উদ্যোগ।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সোমবার (১৯ মে) তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বার্তায় এই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা এখন থেকে আরও কঠোর নজরদারির আওতায় পড়বে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়—“যুক্তরাষ্ট্র সরকার জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধে একটি সমন্বিত আন্তঃসংস্থাপন উদ্যোগ চালু করেছে। কেউ যদি ভিসা জালিয়াতিতে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন।”

এছাড়া, নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতিমালা প্রযোজ্য হবে শুধু ব্যক্তি নয়, সেইসব বিদেশি সরকারের ক্ষেত্রেও, যারা নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেয় বা সহায়তা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দেশটির অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে শিক্ষা, ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে ভিসা নিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে যাওয়া বা ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতা রোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা প্রকৃতপক্ষে ভ্রমণ বা পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহী, তাদের উচিত ভবিষ্যতের সুযোগ নষ্ট না করে সততা বজায় রাখা। কারণ একবার ভিসা জালিয়াতির দায়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেলে তা সারা জীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

মার্কিন দূতাবাস তাদের বার্তায় আরও উল্লেখ করেছে, এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভিসা আবেদন যাচাই আরও কঠোরভাবে করা হবে এবং ভুয়া দালাল বা কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যম ব্যবহারকারীদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে।

পত্রিকাটির পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলা যায়—যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা পড়াশোনার চিন্তা করেন, তবে শুধু সঠিক তথ্য, নির্ভরযোগ্য কাগজপত্র এবং আইনসম্মত উপায়ে আবেদন করাই হবে সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর পথ।