ছবি সংগৃহীত
রাজপথে প্রাণ দিলেও থেমে থাকেনি কিশোর শাহরিয়ার খান আনাসের প্রতিবাদ। ‘একদিন তো মরতে হবেই’—মাকে লেখা এমন এক চিঠি রেখে যান তিনি, যা পড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় আদালত। এ যেন একটি প্রজন্মের হৃদয়ভাঙা প্রতিবাদ।
গত জুলাইয়ে সরকারের পতনের দাবিতে আয়োজিত গণঅভ্যুত্থানের মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। মৃত্যুর আগে তিনি তার মা ও বাবাকে উদ্দেশ করে আবেগঘন একটি চিঠি লিখে যান, যাতে উঠে আসে আত্মত্যাগ, দায়িত্ববোধ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।
রোববার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁনখারপুল গণহত্যার অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতের অনুমতি নিয়ে পড়ে শোনান আনাসের সেই চিঠি। আদালতে তখন নেমে আসে নিঃশব্দতা, পিনপতন নীরবতা বিরাজ করে বিচারপতিদের কক্ষে।
আনাস তার চিঠিতে লেখেন—
‘আমি নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না... যদি বেঁচে না ফিরি, তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হয়ো।’
এই চিঠির প্রতিটি শব্দ যেন পরিণত হয়েছিল একটি জাতির বিবেকের ঝাঁকুনিতে।
চাঁনখারপুল এলাকায় সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ মোট ৮ জনকে। এদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে আছেন, বাকিরা পলাতক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ জুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
চাঁনখারপুল গণহত্যার বিচারকাজ শুরু হওয়ায় একদিকে যেমন আইনের শাসনের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে আনাসের মতো তরুণদের আত্মবলিদান এই বিচারপ্রক্রিয়াকে করে তুলেছে আরও সংবেদনশীল, আরও জরুরি।
এই মামলাটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়—এটি একটি প্রজন্মের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ, যেখানে রক্ত লেখা হয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News