ডেস্ক রিপোর্টার :

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় কয়েক শত কোটি টাকা মূল্যের পাথর আত্মসাতের ঘটনায় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদক সিলেট কার্যালয়ের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ পাথর পাচার হয়ে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করছে। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি ঘটনা জানার পরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে ৪২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, বিজিবি এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপি ২০ জন, আওয়ামী লীগ ৭ জন, জমায়াত ২ জন ও এনসিপি ২ জন রয়েছেন।

ইউএনও পদে দায়িত্বে থাকা চার কর্মকর্তার নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, উর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বদলির স্বল্প সময় বা পূর্বসূরিদের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাৎ জানান, “সাদা পাথর লুটের ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। সদর দপ্তরের অনুমতি পেলে প্রত্যেকের বিষয়ে পৃথক তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”