ছবি সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ের সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম ছড়িয়েছে—'তুরস্কের চেয়েও বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ', 'ঢাকাসহ চার শহর ধ্বংসের মুখে'। তবে বাস্তবতা জানাতে দেশের শীর্ষ ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, আতঙ্কের তুলনায় বিপদ অনেক কম।
বাংলাদেশ জিওলজিক্যাল সোসাইটির জরিপ বলছে, দেশের ৯৩ শতাংশ ভূতত্ত্ববিদ মনে করেন, আগামী ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ৭ বা ৭.৫ মাত্রার বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা খুবই কম। ৮ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা কার্যত নেই।
বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করছেন—বাংলাদেশ একটি সেডিমেন্টারি বেসিন হওয়ায়, ভূমিকম্পের শক্তি মাটির গভীরতায় অনেকটাই হারিয়ে যায়। পাশাপাশি দেশের প্রধান ফল্ট লাইনগুলোও মূল ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থিত, যার ফলে বড় ভূমিকম্পের সরাসরি আঘাতের সম্ভাবনা কম।
তবে কিছু ভূতত্ত্ববিদ সতর্ক করেছেন—ঐতিহাসিক নজির, যেমন ১৮৯৭ সালের আসাম ভূমিকম্প দেখায়, অঞ্চলের ভূমিকম্প সক্রিয়তা অস্বীকার করা উচিত নয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো দুর্বল মাটির শহরগুলোতে কম মাত্রার ভূমিকম্পেও বড় ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের বড় ঝুঁকি ভূমিকম্প নয়, বরং দুর্বল অবকাঠামো। বিল্ডিং কোড অমান্য করে নির্মিত ভবনগুলোই ভূমিকম্পে বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
ভবিষ্যৎ বিপদ এড়াতে এখনই প্রয়োজন—সিসমিক রেটিং অনুযায়ী নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা, ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামোয় বিনিয়োগ, নিয়মিত মহড়া চালু এবং ভূগর্ভস্থ তথ্য আপডেট রাখা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আতঙ্ক নয়, বাস্তবতাভিত্তিক প্রস্তুতিই পারে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News