ডেস্ক রিপোর্টার :

নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ মিশনে শনিবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আগেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আজ সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে চোখ এখন পূর্ণ দখলে।

সকাল ৯টায় লাক্কাতুরা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নুরুল হাসান সোহানের দল। একাদশে কোনো বড় পরিবর্তন না এনে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় দলটির। দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়, আক্রমণভাগে শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত—যারা প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন।

অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল এই সিরিজে এনেছে জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৯ জন ক্রিকেটার। তারপরও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না তারা। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে সফরকারীদের একরকম পিষে ফেলেছে স্বাগতিকরা। তাই আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য কেবলই সম্মান রক্ষার লড়াই।

এই সিরিজটি শুধু একটি ‘এ’ দলীয় সিরিজ নয়, বরং জাতীয় দলের সম্ভাব্য রূপান্তরের একটি মঞ্চ। গত এক বছরে ওয়ানডে ফরম্যাটে মূল দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স—৮ ম্যাচে ৭ হার—দেখে ক্রিকেট বোর্ড এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। নতুন প্রতিভা যাচাই ও জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই সিরিজ হয়ে উঠেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সোহানের নেতৃত্বে গড়া দলটি যেন নিখুঁত একটি প্যাকেজ। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই প্রায় নিখুঁত সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। অধিনায়ক নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনায় এখন উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন একাধিক পারফর্মার।

হোয়াইট বলের এই সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলবে দুটি চারদিনের ম্যাচ, যেখানে আরও একবার নিজেদের প্রমাণের সুযোগ মিলবে তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের জন্য।