ডেস্ক রিপোর্টার :

বাংলাদেশ বনাম ভুটান—প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার বিচারে জয়টা হয়তো প্রত্যাশিতই ছিল স্বাগতিকদের জন্য। কিন্তু মঙ্গলবারের ম্যাচে চোখে পড়েছে কিছু আলাদা বিষয়। ২-০ গোলে জয় পেলে‌ও সবচেয়ে বড় জয় এসেছে মাঝমাঠে—সেটির নাম হামজা চৌধুরী।

লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার জাতীয় দলে পা রাখার পর থেকেই আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের মাঝমাঠে। আর এই ম্যাচে তো যেন গোটা মাঠটাই ছিল তাঁর দখলে।

ম্যাচের শুরুতে হামজার গোলেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সোহেল রানার গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০। কিন্তু স্কোরলাইন যা-ই হোক, ম্যাচের পর আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন হামজা।

প্রতিপক্ষ ভুটানের কোচ আৎসুশি নাকামুরাও সংবাদ সম্মেলনে অকপটে স্বীকার করেন, "হামজার কারণে আমরা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারিনি। কেবল গোল নয়, সে মাঠে বলের ওপর এমন নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল, যা থামানো কঠিন।"

নাকামুরার মতে, এক বছর আগেও বাংলাদেশ এতটা গোছানো ছিল না। তিনি বলেন, "গত বছর এই মাঠেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এবার দেখলাম একেবারে ভিন্ন বাংলাদেশ। বিশেষ করে মাঝমাঠে তাদের পাসিং, বিল্ডআপ—সবকিছু বদলে গেছে।"

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। হামজাকে নিয়ে বললেন, "বাংলাদেশের খেলা পাল্টে দিয়েছে এই খেলোয়াড়। শুধু জামাল নয়, হামজার সঙ্গে তার বোঝাপড়াও দুর্দান্ত। বাংলাদেশের জন্য এটা বড় সুযোগ।"

বাংলাদেশের ফুটবলে যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, সেটি মাঠেই টের পেয়েছে ভুটান। আর ঢাকার স্টেডিয়ামে ফিরেছে সেই পুরোনো উন্মাদনা। দর্শকের উপস্থিতি ও চিৎকারে মুগ্ধ ভুটানের কোচ বলেন, "আমি জোরে কথা বলি, কিন্তু আজ নিজের শব্দ শুনতেই কষ্ট হয়েছে। দর্শকদের এমন আবেগ সত্যিই দারুণ।"

বাংলাদেশ দলের জন্য এই জয় শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটা এক নতুন সম্ভাবনার বার্তা। হামজা-জামালের নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ দল মাঠে নামছে, তারা প্রতিপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।