ডেস্ক রিপোর্টার :

বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক অনাকাঙ্ক্ষিত দিন। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। আর এই ঐতিহাসিক জয়ে উজ্জীবিত হয়ে এখন বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর হুঙ্কার দিয়েছে আমিরাত।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমিরাতের হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। মাত্র ৫১ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে দলের ভিত গড়ে দেন তিনি। শেষ দিকে হায়দার আলির ৬ বলে ১৫ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ১-১ এ সিরিজে সমতা ফেরায় সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ম্যাচ শেষে আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিম বলেন, “আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে হারিয়ে দারুণ লাগছে। আমি সবাইকে বলেছিলাম, এই রান তাড়া করা সম্ভব, কারণ এই কন্ডিশন আমরা ভালো বুঝি।”

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ওয়াসিম। ২০২১ সালে অভিষেকের পর থেকে এই সংস্করণে তার মতো ধারাবাহিকতা খুব কম ক্রিকেটারেরই আছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তান থেকে আমিরাতে পাড়ি জমানো এই ক্রিকেটার।

সিরিজে সমতা ফেরানোর পর ওয়াসিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলব এবং সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।”

এদিকে, আমিরাত ক্রিকেটার আসিফ খান জানান, “আমরা এর আগে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকেও হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের দলটি শক্তিশালী। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৬০ রান তুলতে হবে। ওয়াসিম ভাই সেটা করে দিয়েছেন। নিচের ব্যাটাররাও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে।”

প্রসঙ্গত, মূলত দুটি ম্যাচের সিরিজ হলেও বাংলাদেশের প্রস্তাবে বাড়তি একটি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে আমিরাত। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। টাইগাররা এখন সিরিজ হার এড়াতে মরিয়া থাকবে।

বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আত্মবিশ্বাসহীন বোলিং, মাঝারি মানের ফিল্ডিং এবং পরিকল্পনার ঘাটতি – সব মিলিয়ে আবারও হোঁচট খাচ্ছে লাল-সবুজরা। তৃতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে, প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার দেখতে হতে পারে আমিরাতের কাছে।