ছবি সংগৃহীত
সীমান্তবর্তী সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন ঘটেছে। এর ফলে সিলেটের জকিগঞ্জ পৌর শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বাঁধ রক্ষায় তিন রাত ধরে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েও পানির প্রবল স্রোত ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
রোববার রাত আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রথম ডাইক ভেঙে পানি প্রবেশ শুরু করে। এরপর সোমবার ভোরে বাখরশাল ও সকাল ৮টায় খলাছড়া ইউনিয়নের লোহার মহল এলাকায় আরও দুটি ভাঙন ঘটেছে। কুশিয়ারা নদীর উপচে পড়া পানি জকিগঞ্জ পৌর শহরের বাজার এলাকা সহ বড় অংশ প্লাবিত করেছে।
জকিগঞ্জ পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, খলাছড়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে ১৫ থেকে ২০টি গ্রামে বন্যার দাপট চলছে। নদীর পানি বিপদসীমার আট ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া জানান।
বন্যার কারণে জকিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক ও বাজার এলাকা হাঁটুপর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। সিলেট জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলিতেও পানি বৃদ্ধি ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসন পরিস্থিতি নজরদারি ও বন্যাকবলিতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিলেটের অন্যান্য এলাকা থেকে সামান্য বৃষ্টি না হওয়ায় জলাবদ্ধতা কিছুটা কমলেও, আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২ থেকে ৩ দিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, ভাঙন এলাকায় দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে নতুন করে ভাঙন না ঘটে এবং বন্যার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News