ডেস্ক রিপোর্টার :

চার মাস চিকিৎসা ও পারিবারিক সময় কাটিয়ে আজ সোমবার (৫ মে) রাতে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কাতারের রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা করবেন তিনি। তার সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ মোট ৯ জন।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনের ক্লিনিকে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে এবং পরিবারের কাছাকাছি থেকে মানসিক প্রশান্তি পাওয়ায় বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দেশে ফেরার সকল প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন করেছে দল ও পরিবার।

গুলশানের ফিরোজা ভবনে তার জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাসায় ধোয়ামোছা, জেনারেটর ও এসি সার্ভিসিং, মশা নিধনসহ প্রয়োজনীয় সব সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। বেগম জিয়ার ব্যবহৃত নিশান প্যাট্রল গাড়িটিও নতুন করে রঙ করা হয়েছে এবং যুক্ত করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ গ্লাস।

বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের দেশফেরত। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনিও দেশে ফিরছেন এবং ধানমন্ডির পৈত্রিক বাড়িতে উঠবেন বলে জানা গেছে। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত আবেদন করেছে বিএনপি।

বেগম জিয়ার আগমন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। ঢাকায় তার পৌঁছানোর সময় রাস্তার দুপাশে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গত ৭ জানুয়ারি দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সেখানকার একটি হাসপাতালে ১৭ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর ছেলের বাসায় থেকে নিয়মিত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যান।

বেগম জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার ফেরার পর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।