ডেস্ক রিপোর্টার :

মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আগামী দিনের রাজনীতি আগের মতো থাকছে না, এটি হবে জনগণের পরিবর্তনশীল চাহিদা ও অধিকার পূরণে কার্যকর একটি কাঠামো।”

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খসরু বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার কার্যকর করতে হলে আগে রাজনৈতিক সংস্কৃতির রূপান্তর জরুরি। হাজারো নীতিগত পরিবর্তন কোনো ফল বয়ে আনবে না, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মনোভাব গড়ে না ওঠে।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পেছনে তিনটি শক্তি কাজ করেছে— ছাত্রজনতা, রাজনৈতিক দল এবং সামরিক বাহিনী। এই একই শক্তির সমর্থনে শেখ হাসিনার শাসন পতনের দিকে গিয়েছে।”

কিন্তু এখন সেই তিনটি শক্তির অবস্থান কোথায়— এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ছাত্রদের আন্দোলন চলছে, কিন্তু তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও অস্পষ্ট। সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকার সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের কথা বললেও বাস্তবতায় তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হচ্ছে না। সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবে বিএনপি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিচার করবে। তবে সেটি হবে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “যারা নির্বাচন নিয়ে ভয় পায়, তারা জনগণের ওপর আস্থা হারিয়েছে। নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।”

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুন নুর এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব বাবর চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কমিউনিস্ট পার্টির রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর হোসেন মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান।