ডেস্ক রিপোর্টার :

দীর্ঘ ১০ বছরের কারাবাসের অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেলেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ। এরপর বিকেলে মুক্তির আদেশ জারি করে তা পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ করা হয়, আজহারের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার মৌলিক নীতিমালার লঙ্ঘন হয়েছে এবং সে কারণে ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে।

রায়ে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পূর্ববর্তী রায়ে উপস্থাপিত প্রমাণ যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আপিল বিভাগ মনে করে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি বহাল রাখা সম্ভব নয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, পরে তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানি শেষে মামলাটি আবার আপিল পর্যায়ে পুনরায় শোনার নির্দেশ দেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটিই প্রথম মানবতাবিরোধী মামলার রায় যা রিভিউ পর্যায় থেকে পুনরায় আপিলে গিয়ে খালাস পেল।

আজহারের মুক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।