ডেস্ক রিপোর্টার :

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের ওয়ালটন রোড এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতের দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জিও নিউজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত দুই থেকে তিনটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা, আতঙ্কে অনেক বাসিন্দা ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিস্ফোরণের পরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনগণকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। এখনো বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ বা উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি তদন্তাধীন বলে নিশ্চিত করেছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

এমন এক সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। মাত্র এক দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের অন্তত ৯টি এলাকায় ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।

তার জবাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দফতর ও বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার দাবি করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এ অভিযানে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান—তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯—ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া একটি ড্রোনও ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উড়ন্ত রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ফ্রান্সের গোয়েন্দা বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তাও একটি রাফাল ভূপাতিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এখন দেখার বিষয়, লাহোরে বিস্ফোরণের পেছনে সন্ত্রাসী হামলা, নাশকতা না কি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে, তা তদন্তের পরেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।