ডেস্ক রিপোর্টার :

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের সাম্প্রতিক রাতের সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, "শুধুমাত্র চোর এবং কাপুরুষরাই রাতে আক্রমণ করে। যদি তাদের সাহস থাকত, তারা দিনে আক্রমণ করত।" বৃহস্পতিবার (৮ মে) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এক আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিলাওয়াল বলেন, “ভারত অহংকারে অন্ধ হয়ে বর্বর হয়ে উঠেছে। কিন্তু পাকিস্তানের সাহসী জনগণ দেখিয়ে দেবে কারা সত্যিকারের বীর।” তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান কখনোই যুদ্ধকে উৎসাহ দেয় না, তবে যদি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়, তা হবে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের আলোকে—রাতের অন্ধকারে নয়।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় পরিষদে তার ভাষণে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুধু ঐক্য, পরামর্শ ও সংহতির মাধ্যমেই পাকিস্তান শত্রুর যেকোনো অশুভ পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম।” তিনি বিরোধী দল পিটিআইসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন।

উল্লেখ্য, ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি অঞ্চলের ২৪টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এই হামলা হয় মুজাফফরাবাদ, কোটলি, শিয়ালকোট, মুরদি, শাকারঘার ও পূর্ব আহমেদপুরে, যার ফলে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দফতরসহ একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর জানিয়েছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০ ও একটি মিগ-২৯ রয়েছে। ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা অন্তত একটি রাফাল ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই পারস্পরিক পাল্টা হামলা এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনৈতিক পরিমার্জনার অভাবে উত্তেজনা অনিয়ন্ত্রিত সংঘাতে রূপ নিতে পারে।