ডেস্ক রিপোর্টার :

ভারতের ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটিতে শক্তিশালী হামলা চালিয়ে সেটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার সকালে পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ দেশটির সামরিক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায়।

পাকিস্তান জানায়, ভারতের ক্রমাগত আগ্রাসনের জবাবে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে প্রতিশোধমূলক অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে ফাতাহ-১ সহ উন্নত মিসাইল সিস্টেম।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, একইসঙ্গে পাঠানকোট, উদমপুর এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতেও সফল হামলা চালানো হয়। তবে ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটিতে চালানো আক্রমণ ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগতভাবে সফল।

ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় এবং ভাটিন্ডা শহরের কাছে অবস্থিত। এই ঘাঁটির সংলগ্ন অঞ্চলেই রয়েছে ভাটিন্ডা সিভিল এয়ারপোর্ট, যা সীমিত সংখ্যক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে,

“এই হামলায় কেবল সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার ইচ্ছা বা নির্দেশনা আমাদের ছিল না।”

উল্লেখ্য, ৬ মে মধ্যরাতে ভারতের একটি হামলায় পাকিস্তানের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। তারই জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা অভিযান শুরু করেছে।

‘বুনিয়ান উল মারসুস’ শব্দটি কোরআনের একটি আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ — সীসা গলিয়ে তৈরি এক অটুট প্রাচীর। এটি পাকিস্তানের প্রতিরোধ, ঐক্য ও প্রতিশোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই অভিযানে।

ভারতের পক্ষে এ হামলার স্বীকৃতি বা প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই দেশের এই সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।