ডেস্ক রিপোর্টার :

আজাদ কাশ্মিরে ফের রক্তাক্ত সংঘর্ষ। গত ১২ ঘণ্টায় ভারতীয় বাহিনীর হামলায় পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক মানুষ। আহত হয়েছেন আরও ৫০ জনের বেশি।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে আজাদ কাশ্মিরের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়। এর আগে শুক্রবার রাতে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সীমান্তে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

আজাদ কাশ্মিরের তথ্যমন্ত্রী পীর মাজহার সাঈদ শাহ জানিয়েছেন, ভারতীয় গোলাবর্ষণে এক শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, ২৩৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি দুটি ছোট হাসপাতালেও ভারতীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের জম্মু অঞ্চলের আরএস পুরাতে বিএসএফের অন্তত ৮ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই। তবে ভারত সরকার এখনো পাকিস্তানের হামলায় বেসামরিক বা সামরিক ক্ষতির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্ণেল সোফিয়া কোরেশি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছে। ভারতীয় বাহিনীও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানের আগ্রাসন রুখতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের বাহিনী সফলভাবে প্রতিটি আক্রমণের জবাব দিয়েছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই সংঘর্ষকে 'ভারতের আগ্রাসনের ফল' হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “নিরীহ মানুষের রক্তের বদলা নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোই ছিল আমাদের লক্ষ্য।”

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলে এই সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।