ডেস্ক রিপোর্টার :

দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রোববার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের আনুষ্ঠানিক দাবি জানায় তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এবং বক্তব্য দেন সভাপতি নুরুল হক নুর।

রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা মনে করি, গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদী রাজনীতির দায়ে শুধু আওয়ামী লীগই নয়, তার দোসর জাতীয় পার্টিরও বিচার হওয়া জরুরি। আগামীকাল (সোমবার) নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে তা যেন চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞায় রূপ নেয়, সে লক্ষ্যে গণআন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, তারা আগেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে— জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করে বিভিন্ন আন্দোলন করেছে।

রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সরকার আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে গোপনে সেফ এক্সিট দিচ্ছে। গত ৮ মে রাত ৩টার দিকে হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বহীনতা বা সহায়তা রয়েছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সরকার এখনো ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনেনি, বরং ফ্যাসিবাদী কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখেই দেশ পরিচালনা করছে।

সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “আওয়ামী লীগের শুধু সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলে হবে না, তাদের পুরো রাজনীতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আর জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগেরই ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করেছে—তাদের নিবন্ধন বাতিল না করলে এ আন্দোলন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সময়গুলোতে জনগণের গণআন্দোলন ও চাপ আরও বাড়বে। সরকারকে জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”