ডেস্ক রিপোর্টার :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন এক ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেছেন, এ দাবিকে ঘিরে সম্প্রতি আয়োজিত কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল, তবে কাজ শেষে তাদের পাকিস্তানপন্থি বলে চালানো হচ্ছে।

রোববার (১১ মে) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খাঁন লিখেছেন, যমুনা সেতু ও শাহবাগ ঘেরাও কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির এবং ইসলামিক দলের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল। তার ভাষায়, “৬০ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন ইসলামিক দলের নেতা ও মাদরাসার শিক্ষার্থী।”

রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, আন্দোলনে তাদের ব্যবহার করে এখন কিছু সংগঠন জামায়াত-শিবির থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চাইছে। এনসিপির (ন্যাশনালিস্ট সিটিজেনস পার্টি) নেতাদের নাম উল্লেখ না করেই তিনি জানান, তাদের অনেকেই একসময় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অথচ এখন তারা জামায়াত-শিবিরের ছায়া থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন।

পোস্টে তিনি প্রশ্ন রাখেন, যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি কেন হঠাৎ শাহবাগে গেল? সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দেন, এটি রাজনৈতিকভাবে একটি পরিকল্পিত কৌশল ছিল।

তিনি বলেন, “যাদের এখন পাকিস্তানপন্থি বলা হচ্ছে, তাদের দিয়েই কিন্তু আন্দোলনের প্রধান অংশ চালানো হয়েছে। এবার যদি জামায়াত-শিবির কোনো শিক্ষা নেয়, তবে ভবিষ্যতে তারা আর অন্যের ডাকে এভাবে নামবে না। না হলে আগের মতোই ব্যবহার ও বর্জনের এই খেলায় বারবার অংশ নিতে হবে।”

পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন, “জামায়াত-শিবিরের যদি রাজনৈতিক লক্ষ্য কেবল জনশক্তি সরবরাহ হয়, তবে এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই।”

এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বললেও, কেউ কেউ এটিকে নতুন ধরনের বিভাজনের ইঙ্গিত হিসেবেও দেখছেন।