ডেস্ক রিপোর্টার :

গাজায় হামাসের হাতে ১৯ মাস বন্দি থাকার পর ইসরাইলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মুক্তির পরও গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান থামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে যখন হামাস তাকে অপহরণ করে, তখন ২১ বছর বয়সী এডান ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং গাজার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দীর্ঘ ১৯ মাস পর পরিবারের কাছে ফিরে এডান আলেকজান্ডার এখন নিরাপদ, তবে যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত নেই।

সোমবার, এডানের ফেরার পথ নিরাপদ রাখতে ইসরাইল গাজার সামরিক অভিযান কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত রেখেছিল। এরপরই আবার বোমা বর্ষণ শুরু হয়।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, এই মুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে goodwill gesture হিসেবে এসেছে। তবে তা সফল হয়নি।

টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, এডান একটি সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছে তার বাবা-মা ও ভাইবোনদের জড়িয়ে ধরে কান্না ও আনন্দে ভেঙে পড়েন। এই দৃশ্যটি ইসরাইলজুড়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

তার পরিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানায়। পাশাপাশি ইসরাইলি সরকারকে অবশিষ্ট ৫৮ জন জিম্মির মুক্তির জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, আলেকজান্ডারের মুক্তি যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত নয়। বরং তিনি জানিয়েছেন, গাজায় সামরিক চাপ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক চাপে এই মুক্তি সম্ভব হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, "কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। আমাদের সামরিক অভিযান চলবে এবং আরও তীব্রতর হবে।" তার কার্যালয় থেকেও জানানো হয়েছে যে, ইসরাইল কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

এডান আলেকজান্ডারের মুক্তি মানবিক দিক থেকে একটি আশার আলো হলেও, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব সীমিত। ইসরাইলের অনড় অবস্থান এবং হামাসের দিক থেকেও জবাবদিহিহীন হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।