ডেস্ক রিপোর্টার :

ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি—এমন বার্তা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বললেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারণ করতেই আমরা আজ এখানে।’

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে ড. আলী রীয়াজ এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,

“বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করেছে। এই সংস্কার আলোচনা সেই সংগ্রামেরই ধারাবাহিকতা। গণঅভ্যুত্থানের পর কাঠামোগত পরিবর্তন নিশ্চিত করা ও বাস্তবায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

এই সংলাপে অংশ নিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,

“আমরা কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সংস্কার কমিটি গঠন করেছি। মতভেদ থাকলেও সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে—এ জন্য আমরা সাধুবাদ জানাই।”

তবে তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন,

“বড় ধরনের সংস্কারে হাত দিলে নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংকটে পড়তে পারে। তাই নির্বাচনকে এখন প্রধান কাজ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। পুরোপুরি ঐক্যমত্য সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব ঐকমত্য গড়ে তোলা জরুরি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“সংস্কারের প্রশ্নে একতাবদ্ধ হওয়া গেলে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দলমত নির্বিশেষে একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।”

সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারা মনে করেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা এখন অতীব জরুরি হয়ে উঠেছে।

এই সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাস ও সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।