ডেস্ক রিপোর্টার :

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেও সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ। কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের সীমান্তবর্তী পুঞ্চ, কুপওয়ারা, বারামুলা ও রাজৌরি জেলার ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, "অপারেশন সিন্দুর" ও পরবর্তী পাল্টা হামলায় শত শত গ্রাম সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। জম্মুর পুঞ্চ জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে করুণ। এখানে নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৪ জনই এই জেলার বাসিন্দা।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ সদস্য আজাজ জান জানান, পুঞ্চ জেলার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে বসতবাড়ি। তিনি বলেন, “শেল পড়ে শুধু একটি বাড়ি নয়, চারপাশের ঘরগুলোও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে জরুরি ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় টিকে থাকা অবকাঠামো নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে উরি ও কারনা অঞ্চলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুধু কারনায় ধ্বংস হয়েছে শতাধিক এবং উরিতে অন্তত ৪৫৮টি বাড়ি। স্থানীয় সাংসদ জাভিদ আহমেদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া বাড়ির জন্য ১০ লাখ ও আংশিক ক্ষতির জন্য ৫ লাখ রুপির ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

পাকিস্তানি হামলায় ঘরহারা হাজারো মানুষ এখন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, গোলাবর্ষণের সময় বাঙ্কারে আশ্রয় নিলেও বাইরে এসে দেখেন, তাঁদের বাড়ি গুঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মাসির আসলাম ওয়ানি হামলার ব্যাপকতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিচ্ছে।