ডেস্ক রিপোর্টার :

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৯ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর এমন ঘোষণা দেন তিনি।

এই খবরটি মঙ্গলবার (২০ মে) নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপে শান্তির বার্তা

ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বিষয়টি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প বলেন,

“রাশিয়া ও ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করবে। এবং এটি যুদ্ধ শেষের দিকেও অগ্রসর হতে পারে।”

ক্রেমলিন বলছে—সময় লাগবে কিছুটা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেন,

“মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি যে রাশিয়া একটি শান্তি প্রস্তাব স্মারকলিপি তৈরি করে ইউক্রেনের কাছে পেশ করবে।”

তবে ক্রেমলিনের মতে, পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ হবে।

তুরস্কে আগে বসেছিল আলোচনা

গত সপ্তাহেই তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা প্রথমবারের মতো আবার মুখোমুখি আলোচনায় বসেন। ট্রাম্প সেই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের আলাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।”

ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ চলে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময়।

ইউরোপের চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ সোমবার রাতে এক এক্স পোস্টে জানান, ট্রাম্পের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তে যুদ্ধবিরতির পথ আরও দৃঢ় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মত

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই উদ্যোগ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা ভাঙার প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে পারে। তবে বাস্তব সম্মত ও কার্যকর আলোচনার জন্য উভয় পক্ষের আন্তরিকতা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।