ডেস্ক রিপোর্টার :

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের বিরুদ্ধে সংগঠন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করা হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এনসিপির দফতর শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশে তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ শোকজের পেছনে কারণ ধরা হয়েছে ২০ মে ধানমন্ডি থানায় আটক তিন ছাত্রনেতাকে ব্যক্তিগত মুচলেকায় ছাড়িয়ে আনা। ওই তিনজন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের নেতা। তাদের একজন—মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে ইতোমধ্যে ‘নৈতিকতা স্থলনজনিত কারণে’ সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তাকে ছাড়িয়ে আনায় দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে হান্নান মাসউদের ভূমিকা নিয়ে।

পুলিশ জানায়, ১৯ মে রাতে ধানমন্ডি এলাকার একটি আবাসিক ভবনের সামনে গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার দাবিতে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তিন ছাত্রনেতা। এ সময় এক তরুণ ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যশৈনুকে উদ্দেশ্য করে উত্তেজিত ভাষায় কথা বলেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

পরদিন, পুলিশের নির্দেশে ওই তিনজনকে আটক করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তারা হলেন:

– সাইফুল ইসলাম রাব্বী (মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)

– আফারহান সরকার দিনার (ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব)

– মোহাম্মদ জিসান উল্লাহ (মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ছাত্রনেতা ও ট্রাফিক সহায়ক)

হেফাজতে নেওয়ার পর এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ নিজ উদ্যোগে থানায় গিয়ে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।

এ ঘটনাকেই ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে এনসিপি। কারণ, যাদের একজনকে সংগঠন থেকে ইতোমধ্যেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়টি দলের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হান্নান মাসউদ লিখিত ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন বা ব্যাখ্যা অসন্তোষজনক হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনসিপির ভেতরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অস্বস্তি ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।