ডেস্ক রিপোর্টার :

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমনটি বিশ্বাস করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদ আয়োজিত “বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে আন্দোলন করেছি। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের বিজয়ের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও দ্রুত নির্বাচন।”

তিনি ড. ইউনূসকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আপনি নোবেল পেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে, গণতন্ত্রের জন্য নয়। আপনি গণতন্ত্র বোঝেন না, এনসিপি আপনার দল—আপনার আচরণে সেটাই স্পষ্ট। আপনি যদি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত তিনজনকে অপসারণ না করেন, তবে জনগণ ধরে নেবে আপনি পক্ষপাতদুষ্ট।”

দুদু আরও বলেন, “এই মুহূর্তে জাতিকে সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে দ্রুত নির্বাচন দরকার। সেজন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, জাতীয় ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নিন। তা না হলে সম্ভাব্য যেকোনো অস্থিরতার দায় আপনাকেই নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা সরকারের পাশে আছি বলেই সমালোচনা করছি। পদত্যাগ চাই না, বরং দৃঢ়তা চাই, নেতৃত্ব চাই। ছেলেমানুষি নয়—আপনাকে নেতৃত্ব দিতে হবে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার।”

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণে নির্বাচনই একমাত্র পথ। তাই সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন জরুরি।”

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, সাবেক এমপি শামীম কায়সার লিংকন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, কৃষক দলের সাবেক দফতর সম্পাদক এস কে সাদি এবং দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচন আয়োজনই দেশের স্থিতিশীলতার একমাত্র উপায়।