ডেস্ক রিপোর্ট :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১,৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।

জাকসু প্রার্থীর মধ্যে ২৫ শতাংশ ছাত্রী। তবে ভিপি পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই, জিএস পদে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন মেয়ে, এবং চারটি অন্যান্য পদে কোনো নারী প্রার্থী নেই। হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থীর ২৪.৪ শতাংশই ছাত্রী।

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আটটি প্যানেল। ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে লড়ছেন শেখ সাদী হাসান এবং জিএস পদে তানজিলা হোসেন বৈশাখী। বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে। ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুর রশিদ জিতু ও মো. শাকিল আলী। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে অংশ নিচ্ছে। ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্যদে’ প্যানেলও নির্বাচনে লড়াই করছেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাসঙ্গিক কর্মকর্তারা নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্ন ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা নিয়েছেন।