ডেস্ক রিপোর্টার :

সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সহকর্মী আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীর হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিন স্থগিতই থাকছে। আজ (সোমবার) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত রুল জারি করে জানিয়েছে, এই ৬১ আইনজীবীর জামিন সংক্রান্ত রুল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি তৎপরতার সঙ্গেই সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন আদালত।

আসামিপক্ষের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এম কে রহমান এবং মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

এর আগে, ২২ এপ্রিল হাইকোর্ট এই ৬১ জন আইনজীবীকে জামিন দিয়েছিলেন। তবে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ২৯ এপ্রিল চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে ৫ মে পর্যন্ত কার্যকারিতা স্থগিত রাখেন এবং আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। আজকের আদেশে সেই স্থগিতাদেশ বহাল থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল হাইকোর্টের জামিন মেয়াদ শেষ হলে ৮৩ জন আইনজীবী ঢাকার মহানগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এর মধ্যে সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগরসহ ১৮ নারী আইনজীবী জামিন পান। তিনজন আত্মসমর্পণ না করায় আদালত ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে। মামলায় প্রথমে ১৪৪ জনের নাম এফআইআরে উল্লেখ করা হয়। পরে ১১৫ জন উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী মহলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বললেও অন্যপক্ষ বলছে, বার কাউন্সিলের সদস্যদের সহিংস কর্মকাণ্ডে আইনের আশ্রয় নেয়া জরুরি ছিল।