ডেস্ক রিপোর্টার :

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক একাধিক মামলায় দেশের রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ের ৯ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং আরও কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।

বুধবার (২৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।

গ্রেপ্তার দেখানো অন্য নেতারা হলেন:

সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম

সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম মনু

সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম

আওয়ামী লীগ নেত্রী রজনী আক্তার টুসী

আদালত সূত্রে জানা গেছে,

আমির হোসেন আমুকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়,

ইনু ও মেননকে একটি হত্যাচেষ্টা ও দুটি হত্যা মামলায়,

পলককে একটি হত্যাচেষ্টা ও একটি হত্যা মামলায়,

কামরুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়,

মনিরুল ইসলাম মনুকে দুটি হত্যা মামলায়,

জাহাঙ্গীর আলম ও টুসীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সবগুলো মামলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত করছে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিট।

এই মামলাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না—তা নিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে এবং আদালতের নির্দেশেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের দিকে এগোচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিরোধী দলগুলো এ ঘটনাকে “প্রশাসনিক হয়রানি” বললেও সরকারি মহল থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।